দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিতে এসে কমলা বিতরণ করেছেন ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম।
হাজী সেলিমের পাশাপাশি তার দুই ছেলে সুলাইমান সেলিম, ইরফান সেলিমও একই আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হন হাজী সেলিম।
এ হাজী সেলিম এবং সুলাইমান সেলিম গাড়ির খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর ইরফান সেলিম ছিলেন গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে।
গোটা ত্রিশেক ঘোড়ার গাড়ি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পিক-আপ, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের বিশাল বহর ছিল তাদের সঙ্গে। তিনজনই হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন।
হাজী সেলিম ও সুলাইমান সেলিম গাড়ি থেকে নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে কমলা ছুড়ে দেন। পরে তারা ভিড় ঠেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এ সময় সচিবালয়, গুলিস্তান থেকে জিপিও সড়ক পর্যন্ত যানজট লেগে যায়।
মনোনয়ন বিক্রয় কেন্দ্রে ঢাকা বিভাগের বুথের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল আসাদ রাসেল সেলিম এবং তার দুই ছেলে সুলাইমান সেলিম, ইরফান সেলিম তিনজনই ঢাকা-৭ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
হাজী সেলিম ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান।
২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হাজী সেলিম। নৌকার প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি হওয়ার পর সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র সদস্যকে নিয়ে জোট গঠন করেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন হাজী সেলিম। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে সম্প্রতি।
এদিকে প্রয়াত শিল্পপতি জয়নুল হক সিকাদরের মেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পারভীন হক সিকদার এবার চার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন।
মনোনয়ন বিক্রয় কেন্দ্রে ঢাকা বিভাগের বুথের দায়িত্বে থাকা রাসেল জানান, পারভীন হক শিকদার ঢাকা-১০, শরীয়তপুর-১, শরীয়তপুর-২, শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।