ছাত্রলীগ কর্মীর থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল ইবি শিক্ষার্থীর 

0
54

থাপ্পড় দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম এনামুল হক ইমন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।

রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল হক রুমন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বদরুল আমিন পিয়াস। এর মধ্যে মিনহাজুল হক রুমন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ইমন। তখন অভিযুক্ত বদরুল আমিন পিয়াস ভুক্তভোগীর পথ রোধ করে বাইক থামাতে বলেন। সেখানে পিয়াসের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে ভুক্তভোগী চলে যেতে শুরু করেন। তার কিছু পরেই অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ভুক্তভোগীর ওপর হামলা করেন। এ সময় ইমনের বাম কানে প্রচন্ড আঘাত লাগে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেন। তবুও অসুস্থ অনুভব করায় ইমনকে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ায় নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. এম এ মান্নানকে দেখালে তিনি কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। এছাড়াও অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী অভিযুক্তের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ বিচার ও তার অপারেশনের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন বলেন, ওখানে আমার কোন দোষ ছিল না। হঠাৎ রুমন ভাই এসে আমাকে মারধর করেন। এতে আমার কানের পর্দা ফেটে যায়। আমি আমার অপারেশনের পুরো খরচসহ কর্তৃপক্ষের কাছে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সে আমাদের কর্মী না। লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এদিকে অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ প্রসঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। পরবর্তী প্রক্টরিয়াল বডির মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here