ছোট্ট একটি শব্দ নারী।জন্মের আগেই যার আগমনের সংবাদ আজও মনে কিঞ্চিৎ বেদনা জোগায়।পুরুষ শাষিত সমাজে সেই গর্ভধারীনীও যেনো আজ ছেলেই চায়।জন্মের পরই বাবা মায়ের মূল লক্ষ্য থাকে তাকে পাত্রস্থ করা।ব্যাস ঘাড়ের বোঝা নেমে গেলো। শুধু এই জন্য বাবা কড়া পণ দিতেও প্রস্তুত থাকে।একটা নারীর স্বাধীনতা তখন জামাইয়ের হাতে বন্দী।জামাইয়ের অতিরিক্ত লোলুপায়িত চাহিদা নারীকে মানসিকভাবে মৃত ঘোষণা করে।খুব বেশিদিন নয় এই ত কয়েক দশক আগেও নারীর জীবন কাহিনি এভাবেই ইতিহাসের সাথে বিলীন হয়ে যেতো।
আবার এই সময়েই রচিত হয়েছে রোমিও জুলিয়েট,শিরি-ফরহাদ,লাইলি মজনু,শাহজাহান -মমতাজ,আওরঙ্গজেব -আনারকলি র মতো প্রেম কাব্য।ইতিহাস ঘুরে ঘুরে সেই কাব্যে লেখা প্রেমের গল্প করলেও সাধারণ নারীর জন্য তা ছিল শুধুই দুঃস্বপ্ন।
প্রেম, ভালোবাসা, প্রয়োজন,চাহিদা কিছুই যেনো নারীর জন্য না।নারী মাত্রই আত্মত্যাগ। কিন্তু সে যুগ হয়েছে বাসী যে যুগে পুরুষেরা দাস ছিল না কো,নারীরা আছিল দাসী।আজ নারী নিজেকে আবিষ্কার করেছে।বিধাতা নারী পুরুষের সমান অধিকার দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাহলে কেন তারা পুরুষদের করতলে বন্দী থাকবে?
তাইত নারী আজ দশভুজা, রুপে লক্ষী গুণে সরস্বতি,কর্মে নিপুণা। সর্বক্ষেত্রে আজ নারীর বিচরন।আজ নারীর স্বার্থকতা দেখলে মনে হয় স্বার্থক সেই আদর্শবতী রমনী বেগম রোকেয়া স্বার্থক,স্বার্থক বেগম সুফিয়া কামাল,স্বার্থক সেই সকল নারী যারা কুসংস্কারের আবদ্ধ জাল ভেদ করে এগিয়ে এসেছে নতুনের পথে।
নারীবাদীরা শুধু কলমের আগায় অধিকারের কথা বলেছে কিন্তু নারী স্বীয় বুদ্ধি, শক্তি ও অপরিসীম ধৈর্য্য নিয়ে তার অধীকার জয় করেছে।তাই নারীর অধীকারই নারীর অর্জন হয়ে উঠেছে। সেই অর্জনের দাপট দেখাতেই নারী জয় করে নিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় সব বিশ্বয়।
নারী আজ ঘরের কোনে ঘোমটা টানা বধূ নয় নারী আজ মহাকাশচারী,বিজ্ঞানী,চিকিৎসক,শিক্ষিকা,নারী আজ দেশ পরিচালিকা। স্বীয় স্থানে আজ তারা তাদের জয়গান গায়ছে।গোটা বিশ্ব আজ তাদের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে।।